ঢাকার যানজট মূলত সমস্যা নয়, এটি রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ: মেয়র আতিক

আলোরধারা ডেস্কঃ

ঢাকার যানজট মূলত সমস্যা নয়, এটি রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দুদিনের ট্রান্সপোর্টেশন সামিটের প্রথমদিন শেষে এসব কথা জানান তিনি।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানী শহর ঢাকার যানজট মূলত সমস্যা নয়, এটি রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ঢাকায় মানুষ আসছে। যারা অধিকাংশই রিকশাচালক কিংবা হকার হিসেবে কাজ করছেন। এদের নিয়ন্ত্রণ রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ, তাই দরকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য মেগাসিটির গণপরিবহন ব্যবস্থার সংকট উত্তরণের উপায় ও জ্বালানি সাশ্রয়ী আগামীর পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে, বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে সিটি বাস সার্ভিসকে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে।

পরবর্তী ধাপে ঢাকার রাস্তায় জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মেট্রোরেলের স্টেশনকেন্দ্রিক করিডোর ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএনসিসিকে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।

মেয়র আরও বলেন, ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা ঘনত্ব। ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৪৯০০ বর্গকিলোমিটার। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ প্রবেশ করছে, যা মেনটেইন করা বেশ কষ্টকর।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র ৭ত শতাংশ রাস্তা রয়েছে। যেখানে দরকার ন্যূনতম ২৫ শতাংশ। ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের গড় গতি ঘণ্টায় মাত্র ছয় কিলোমিটার; ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় বাসের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ৩৩ গুণ বেশি। আমি কিছু স্বল্পমেয়াদি এবং মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ঢাকার বাস রুট রেশনালাইজেশনে ২২ কোম্পানির বাস ছয় রুটে চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছি এবং ইতোমধ্যে তিনটি রুট চলমান রয়েছে। শিগগির আরও দুটি রুট চালু হবে।

স্বল্পমেয়াদি কর্মপরিকল্পনায় আরও রয়েছে স্কুলবাস চালু, অ্যাপভিত্তিক রাস্তায় কার পার্কিং ইত্যাদি। মিডটার্ম অ্যাকশনের মধ্যে আছে ইসিএম প্রজেক্ট, ডেডিকেটেড বাস বে তৈরি। এছাড়া সম্মেলন থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণপরিবহন ব্যবস্থপনার জন্য পথচারীবান্ধব ফুটপাত, প্রতিটি সড়কে আলাদা সাইকেল লেন করাসহ বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে।